স্টাডি ইউকে স্কলারশিপ ২০২১:উই বিলিভ ইন এডুকেশন

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারী ২০২১ ১৭:৫৯; আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৪ ১১:৫৭

উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে যেতে আগ্রহী বাংলাদেশিদের জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিলের বিভিন্ন ধরনের স্কলারশিপ প্রোগ্রাম রয়েছে। এই প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে: কমনওয়েলথ স্কলারশিপস, চার্লস ওয়ালেস প্রফেশনাল ভিজিটিং প্রোগ্রাম, হর্নবি স্কলারশিপস, উইমেন ইন স্টেম স্কলারশিপস এবং জিআরইএটি (গ্রেট) স্কলারশিপস।
আগ্রহীদের এই সব স্কলারশিপ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় ধারণা দিতে আজ ব্রিটিশ কাউন্সিল স্টাডি ইউকে স্কলারশিপস ২০২১: #উই বিলিভ ইন এডুকেশন শীর্ষক এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় একশ প্রতিনিধিগণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, স্টাডি অ্যাব্রড কাউন্সেলর, আইইএলটিএস রেজিস্রেতিশন সেন্টার, দেশি ও বিদেশি এনজিও, ব্রিটিশ হাইকমিশন এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর প্রোগ্রাম জেসিকা ম্যাগসনের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। তিনি বিগত ৭০ বছর ধরে বাংলাদেশের শিক্ষাখাতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের বিভিন্ন অবদানের কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের পরবর্তী বক্তা ছিলেন ব্রিটিশ কাউন্সিলের ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন সার্ভিসেস ম্যানেজার সৈয়দ তীর্থ মাহমুদ। তিনি অনুষ্ঠানের মূল আলোচ্য বিষয় গ্রেট স্কলারশিপস ২০২১ এর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। গ্রেট স্কলারশিপস ২০২১ যুক্তরাজ্যের ৪১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে স্টাডি ইউকে ক্যাম্পেইনের আওতায় চালু করা হয়েছে, যা বাংলাদেশ, চীন, মিশর, ঘানা, কেনিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ডের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের যুক্তরাজ্যে বিশ্বমানের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ তৈরি করে দিবে। চলতি বছর বাংলাদেশিদের জন্য ১১টি স্কলারশিপ রয়েছে। প্রতিটি গ্রেট স্কলারশিপের আবেদনের শেষ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ভেদে আলাদা হবে। ডেডলাইন জানতে আগ্রহীদের পছন্দের ইনস্টিটিউশনের সাথে যোগাযোগ করতে হবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন এই ঠিকানায়:www.britishcouncil.org.bd
তার বক্তব্যের পর, ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর এডুকেশন ডেভিড মেনার্ড একটি প্রেজেন্টেশনে ব্রিটিশ কাউন্সিলের পরিচালনাধীন বিভিন্ন স্কলারশিপ প্রোগ্রামের নানান দিক নিয়ে আলোচনা করেন। বিগত বছরগুলোতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের এই প্রোগ্রামগুলোর সাফলতার বিভিন্ন দিক প্রেজেন্টেশনে তুলে ধরা হয় এবং বাংলাদেশিদের জন্য যুক্তরাজ্যে উচ্চশিক্ষায় ব্রিটিশ কাউন্সিল কেমন করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে সেসব বিষয়গুলোও তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের ডেপুটি হাই কমিশনার জাভেদ প্যাটেল যুক্তরাজ্যে শিক্ষাগ্রহণের সুবিধা এবং কীভাবে এই শিক্ষা ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সে বিষয়টিও তিনি তার আলোচনায় তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড র্যাং কিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখা যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থীদের দক্ষতার বিকাশে বেশ সুনাম রয়েছে, যা চাকরির বাজারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এটি কেবলমাত্র শ্রেণিকক্ষে উপস্থিতির বিষয়ই নয় বরং এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা প্রাণবন্তভাবে শিক্ষদের সাথে সেমিনার, আলোচনা ও ব্যবহারিক প্রকল্পে অংশ নিতে পারেন।’
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্যে মাননীয় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উচ্চশিক্ষায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সুযোগ প্রদানে এসব স্কলারশিপ প্রোগ্রামের গুরুত্বের ওপর আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘এই ধরণের স্কলারশিপ প্রোগ্রাম বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণে বিস্তৃত পরিসরের সুযোগ তৈরি করছে। এই প্রোগ্রামগুলো তাদের দক্ষতা, সাংস্কৃতিক সচেতনতা ও অন্যরা কীভাবে কাজ ও চিন্তা করে তা বুঝতে সহায়তা করে। সর্বোপরি, ভবিষ্যতে তাদের চাকরির বাজারে প্রবেশের সম্ভাবনাকে জোরদার করে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, যুক্তরাজ্যের ডিগ্রি ও অভিজ্ঞতা বিশ্বব্যাপী গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা হয়।’
বাংলাদেশিদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য স্কলারশিপ সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদানের জন্য এই ইভেন্টটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। শিক্ষাখাতের ধারাবাহিক পরিবর্তশীল চিত্র নতুন সুযোগের চাহিদা তৈরি করছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিলের স্কলারশিপ প্রোগ্রামগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষাখাতের সাথে সংশ্লিষ্টরা একসাথে মিলিত হয়ে সমন্বিত ও টেকসই ভবিষ্যত তৈরিতে কর্মকৌশল নির্ধারণে আলোচনা করেন। বিশেষ করে, সঙ্কটকালীন পরিস্থিতিতে সরাসরি যোগাযোগ যখন সীমিত তখন এই ইভেন্টগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ।



বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top