গঠনমূলক সমালোচনা হচ্ছে বিউটি অব ডেমোক্র্যাসি: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ ০৬:২৩; আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৪ ১০:৩৭

  • গঠনমূলক সমালোচনাকে ‘বিউটি অব ডেমোক্র্যাসি’ হিসেবে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, সমালোচনাকে সমাদৃত করার মানসিকতা থাকতে হয়। ইদানীং টেলিভিশনের টক-শোগুলো শুনুন, সেখানে সরকারকে কী ভাষায় সমালোচনা করা হয়। আমরা মনে করি এই সমালোচনা থাকতে হবে। সমালোচনা না থাকলে গণতন্ত্র নষ্ট হয়, গণতন্ত্রের সৌন্দর্য নষ্ট হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এখন দেখবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সকাল বেলা কড়া ভাষায় সরকারের সমালোচনা করেন, আবার সেটার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে দুপুরে রিজভী আহমেদ আরেকটি সংবাদ সম্মেলন করে আরও কড়া ভাষায় সরকারের সমালোচনা করেন। পাশাপাশি প্রেস ক্লাবে গিয়ে গয়েশ^র চন্দ্র রায় কিংবা অন্য কেউ আরেকবার বক্তৃতা দিয়ে বলেন, আমাদের কথা বলার কোনো অধিকার নেই। বিএনপি নেতারা সারাদিন সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে সন্ধ্যায় বলেন আমাদের কথা বলার অধিকার নেই।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি লালন করেন। আমি যখন পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলাম, তখন যেই পত্রিকা ব্যঙ্গ করে আমার কাটু©ন ছাপিয়েছিল প্রথম পাতায়, সেই পত্রিকাকে জাতীয় পরিবেশ পদক দেওয়ার জন্য আমি নিজেই নাম প্রস্তাব করেছিলাম এবং তারা পেয়েছিল। কারণ আমরা মনে করি দায়িত্বে থাকলে সমালোচনা হবে এবং সেই সমালোচনা সহ্য করার মানসিকতা দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীদের থাকতে হয়। না হয় বহুমাত্রিক সমাজব্যবস্থা গড়ে ওঠে না।

ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, অনেক সমালোচনা হচ্ছে, রাত ১২টার পরে যদি টক-শো শোনেন, সবগুলো টক-শো যদি কারও উপসংহারে আসে তাহলে মনে হবে দেশে কোনো কিছুই হচ্ছে না। কিন্তু বাস্তবতাটা হচ্ছে ব্লyমবার্গ করোনা নিয়ে যেই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সেখানে বলছে করোনা মোকাবিলা করার ড়্গেত্রে দড়্গিণ এশিয়ায় সব দেশের উপরে বাংলাদেশের অবস্থান এবং পুরো পৃথিবীতে বাংলাদেশের অবস্থান ২০তম। জনবহুল বাংলাদেশে মানুষের ঘনত্ব পৃথিবীতে সর্বোচ্চ, মাথাপিছু কৃষি জমির পরিমাণ পৃথিবীতে সর্বনিমœ।  যখন ভালো কাজের প্রশংসা হয় না অহেতুক সমালোচনা হয়, তখন কিন্তু যারা ভালো কাজ করেন তারা হতাশ হন।

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী ফরিদ।

ক্লাবের যুগ্ম সা. সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু সুফিয়ান ও কলিম সরওয়ার, সিনিয়র সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজা, বিএফইউজের সহ-সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রকৃতপক্ষে গণমাধ্যম হচ্ছে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। রাষ্ট্রের যদি কোনো একটি স্তম্ভ সঠিকভাবে কাজ না করে তাহলে রাষ্ট্রের ভিত নষ্ট হয়ে যায়। এটি মাথায় রেখে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্তরা যাতে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন এবং স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করতে পারেন–সেক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছেন।




আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top